রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ০১:৩৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
সুন্দরগঞ্জে সড়ক তো নয় যেন বাড়ির উঠানঃ ঝুঁকিতে পথচারি ও যানবাহন গাইবান্ধায় মেঘ দেখলেই কৃষকের দুশ্চিন্তা বাড়ছে গাইবান্ধা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের ব্যস্ত সময় গাইবান্ধার জেনারেল হাসপাতাল বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিতঃ দালালদের দৌরাত্ম্যঃ রোগীদের মাঝে নিম্ন মানের খাবার পরিবেশন কুপতলায় ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু সাদুল্লাপুরে পিকিং জাতের হাঁস পালনে তাক লাগিয়েছে সোহাগ সুন্দরগঞ্জে ১১ মাস অ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধঃ রোগীদের ভোগান্তি সুন্দরগঞ্জে গ্রাম পুলিশদের প্রশিক্ষণ শুরু ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ীরা গোবিন্দগঞ্জে লেবু হত্যার আসামীকে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন

নির্মাণ কাজ শেষ না হতেই ধসে গেছে রামডাকুয়া সেতু

নির্মাণ কাজ শেষ না হতেই ধসে গেছে রামডাকুয়া সেতু

সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ রামডাকুয়া সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ এবং উদ্বোধন না হওয়ার আগেই ধসে গেছে পূর্ব পার্শ্বের সংযোগ সড়কসহ শেষ প্রান্তের পিলার সংলগ্ন একাংশ। গত এক সপ্তাহ ধরে অবিরাম বৃষ্টি বাদলে কারণে প্রায় ৩০ফুট জায়গা ধসে গিয়ে ফাটল দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের দাবি নির্মাণ কাজের শুরু থেকে সেতুর কাজে ব্যাপক অনিয়ম করে আসছিল ঠিকাদার ও নকশাকার মইনুল ইসলাম। এনিয়ে বেশ কয়েক বার কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। তারপরও প্রভাব খাটিয়ে কাজটি শেষ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। এখনও উদ্বোধন করা হয়নি। তিস্তার চরবাসির দীর্ঘদিনের কষ্ট লাঘব এবং স্বপ্ন বাস্তবায়নে নির্মাণ হয় রামডাকুয়া সেতু। ২০২০ সালের মার্চ মাসে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। অথচ ২০২১ সালের আগষ্ট মাসেও কাজ শেষ হয়নি। ঢাকার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান পুরকৌশল প্রযুক্তি লিমিটেড ৯৬ মিটার লম্বা পিসি গার্ডার সেতু দু’পাশে ৫০মিটার করে ১০০ মিটার সয়যোগ সড়ক নির্মাণ করে। নির্মাণ কাজের বরাদ্দ ছিল ৫ কোটি ৫৭ লাখ ৯৮ হাজার ৪৪৪ টাকা। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়। সুন্দরগঞ্জ পৌর সভার রামডাকুয়া মহল্লার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার শাখা নদীর উপর নির্মাণ করা হয় সেতুটি। উপজেলার বেলকা, হরিপুর, তারাপুর সহ পাশ্ববর্তী কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর ও চিলমারি উপজেলার প্রায় ৩০ গ্রামবাসি প্রতিদিন রামডাকুয়ার শাখা নদী দিয়ে পায়ে হেঁটে, নৌকা যোগে কষ্ট করে উপজেলা শহরে আসা যাওয়া করে আসছিল। এরই এক পর্যায়ে ২০১২ সালে তৎকালিন সংসদ সদস্য ব্যক্তিগত উদ্যোগে ইঞ্জিনিয়ারিং প্লান ইস্টিমেট ছাড়াই একটি সেতু নির্মাণ করেছিল। কিন্তু ২০১৫ সালে বন্যার স্রােতে সেতুটি ভেসে যায়। এরপর থেকে চরবাসি কষ্ট করে চলাফেরা করছিল। ২০১৯ সালে এলজিইডি সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু করে। বেলকা চরের আঃলীগ নেতা মজিবর রহমান মজি জানান নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। সেতুটি উদ্বোধন না হতেই যেহেতু ধস ও ফাটল দেখা দিয়েছে, সে হিসেবে সেতুটির টিকসই কি হবে তা ভাববার বিষয়। সেতুর দায়িত্বে থাকা উপসহকারি প্রকৌশলী নকশাকার মইনুল ইসলাম জানান, বৃষ্টির কারনে ধসে গেছে, দ্রুত মেরামত করা হবে। উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল মুনছুর জানান, সেতুর সংযোগ সড়কের পাশের বাড়ির মালিক জায়গা না দেয়ায় সংযোগ সড়কের স্লাব প্ল্যান মোতাবেক করা সম্ভব হয়নি সে কারনে ধসে গেছে। আশু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com